সম্পাদকের আত্মকথন

দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের কাজ কী? অ্যালবার্ট হাবার্ড এর একটি চমৎকার উদ্ধৃতি হলো- “সম্পাদক: সংবাদপত্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন মানুষ, যার কাজ হচ্ছে গমের দানা থেকে খোসাগুলো আলাদা করা এবং দানার পরিবর্তে খোসাগুলো ছাপা হয়েছে কি না তা দেখা।’’ (Editor: a person employed by a newspaper, whose business it is to separate the wheat from the chaff, and to see that the chaff is printed’ Elbert Hubbard)
আসলেই কি তাই? না। বিশ্বব্যাপী সমালোচনাত্মক ধারার পণ্ডিতদের কাছে এই উক্তি গ্রহণযোগ্য হলেও আমার কাছে তা পুরোপুরি ঠিক নয়। সম্পাদক হলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি যে প্রতিষ্ঠানেরই প্রধান নির্বাহী, খোদ সেই প্রতিষ্ঠানেরই প্রতিষ্ঠান। তাঁকে দায় নিতে হয় সবচেয়ে বেশি। তিনি কদাচিৎ কলম ধরেন, তাঁর নিত্য কাজ পলিসি ডিরেকশন দেয়া তাঁর টিমকে। তিনি থাকেন নেপথ্যের মানুষ হিসেবে। আচ্ছা, কেমন হবে যদি নেপথ্যের মানুষরা তাঁদের কর্মময় স্মৃতিচারণ করেন আত্মজৈবনিক গ্রন্থে? কিংবা স্মরণিকায় প্রকাশিত তাঁদেরকে নানান বিচার বিশ্লেষণে যদি তাঁদের নানা রূপে খুঁজে পাওয়া যায়? বহুল আলোচিত, পাঠকপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সম্পাদকের আত্মকথন, স্মরণিকা পড়ে জানা যাবে তাঁদের কাজ ও তৎপরতার মূল্যায়ন। বাংলাদেশে এই কাজগুলি খুব কম হয়। কিন্তু হওয়া উচিত। এই দায়িত্ব একাডেমিয়ার পণ্ডিত গবেষকদের এড়ানোর সুযোগ নেই। তবে যতটুকু হয়েছে, তাও মন্দের ভালো। তার কয়েকটি আমার পড়ার সুযোগ হয়েছে। আমার পরম সৌভাগ্য এদের মধ্যে দুজনের নিবিড় পরিচর্যায় আমার সাংবাদিকতা করারও সুযোগ হয়েছিলো। লোভ সামলাতে পারছি না, এখানে একটি বইয়ে আমার লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। তো, এই কাজগুলি আগানো উচিত। নেপথ্যের মানুষদের গল্পের প্রতি আগ্রহ সকলের আছে। কিন্তু করবে কে এই কাজ?